Categories
অর্থনীতি

শীতের আগাম সবজিতে কৃষকের মুখে হাসি

মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজরসহ বেশ কিছু শীতের আগাম সবজি বাজারে উঠেছে।

শরতের বিদায় ঘনিয়ে আসছে। হেমন্ত উঁকি দিচ্ছে প্রকৃতিতে। শীত আসতে বাকি এখনো দুই মাসের বেশি। আর এ সময়ে শীতের হরেক রকম সবজি চাষে মেতেছেন বগুড়ার কৃষকেরা। মাঠে মাঠে শীতকালীন সবজি চাষের ধুম পড়েছে। অবশ্য কোনো কোনো এলাকার চাষি আগেভাগেই খেতে শীতের সবজি চাষ করেছেন।

এরই মধ্যে মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজরসহ বেশ কিছু শীতের আগাম সবজি বাজারে উঠেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এসব সবজির দাম বেশি। ভালো দাম পাওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। আবার আবহাওয়াও কৃষকের অনুকূলে।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে শীতের আগাম সবজির চাষ হয়েছে। মুলা, শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটোসহ হরেক রকম শীতকালীন সবজিতে ভরপুর মাঠ। অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এবার জেলায় ৪ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে শীতের আগাম সবজির চাষ হয়েছে। নতুন করে আরও ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শীতের আগাম সবজি বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ায় সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে, তাই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বগুড়া সদর,শাজাহানপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মুলাসহ হরেক রকম সবজি। সাতসকালে সবজিখেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ কীটনাশক ছিটাচ্ছেন, কেউ সেচ দিচ্ছেন। আবার কেউ খেত থেকে সবজি তুলে বিক্রির জন্য বাজারে নিচ্ছেন। অনেকে নতুন করে শীতকালীন সবজির চারা রোপণেও ব্যস্ত।

বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া, সাতশিমুলিয়া, শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীকোলা, রহবল, কৃষ্ণপুর, তালিবপুর, গণেশপুর, নারায়ণপুর, হরিপুর, জাবারিপুর, অনন্তপুর এবং শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর ও শাহনগরের মাঠে এখন মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, গাজর, শসা, ঢ্যাঁড়স, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক ও শিম শোভা পাচ্ছে।

শিবগঞ্জ গণেশপুর মাঠে ফুলকপির খেত পরিচর্যার সময় কথা হয় চাষি অজিত চন্দ্রের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুই বিঘা জমিতে এবার ফুলকপি, বাঁধাকপি আর মুলা চাষ করেছেন। শীতের আগেই এসব সবজি বিক্রি করতে চান তিনি। তালিবপুর গ্রামের কৃষক আবদুস সামাদ জানান, তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি, মুলা আর গাজরের চাষ করেছেন। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি এসব সবজি বাজারে তোলা হবে।

জাবারিপুর গ্রামের কৃষক জাহের আলী জানান, চাহিদা থাকায় এবার খেত থেকে মুলা, কপি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। হাটে নিতে হচ্ছে না। প্রতি মণ ফুলকপি ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর এলাকার কৃষক আবদুল মজিদ জানান, শীতের আগাম সবজি শিম ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

By নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু