Categories
স্বাস্থ্য

পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধে করণীয় – countrynews24.com

পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধে নিয়মিত তাজা ও অর্গানিক শাকসবজি–ফল খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

দেশ–বিদেশে পাকস্থলীর ক্যানসারের রোগী ক্রমে বাড়ছে। ক্যানসারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এখন পাকস্থলীর ক্যানসার। নারীদের তুলনায় পুরুষরাই এ ক্যানসারে বেশি ভোগেন। যদিও বয়স্ক ব্যক্তিদের পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার তুলনামূলক বেশি। তবে বাংলাদেশে অল্প বয়সীদের মধ্যেও পাকস্থলীর ক্যানসারের রোগী দেখা যায়। আসুন, পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ, লক্ষণ এবং তা প্রতিরোধের উপায়গুলো জেনে নিই:

যেসব কারণে হয়

পাকস্থলীর ক্যানসারে রোগীর পারিবারিক ইতিহাস জানা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিক আলসার ও পাকস্থলীতে হ্যালিকোব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এ ক্যানসারের অন্যতম কারণ। অতি লবণাক্ত বা সল্টেড খাবার, সামুদ্রিক মাছ ও শুঁটকি বেশি খাওয়া এ ক্যানসারের কারণ হতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। স্থূলতা, শারীরিক পরিশ্রম কম করা, রবারের কারখানা ও কয়লাখনিতে দীর্ঘদিন কাজ করলে এ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

যেভাবে বুঝবেন

পাকস্থলীর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হঠাৎ করে পেটের উপরিভাগে ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, ওজন হ্রাস, ক্ষুধামন্দা, বমিভাব বা বমি হওয়া, খাবার ওপরে উঠে আসা, মুখে লালা জমা প্রভৃতি। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর শরীরে তেমন কোনো লক্ষণ না–ও থাকতে পারে। অনেক সময় আলসারের সঙ্গে ক্যানসারজনিত ব্যথার পার্থক্য করা যায় না। এ ছাড়া পাকস্থলীর ক্যানসারের রোগীর পেটে চাকা অনুভব করা, পেটে পানি আসা, পেট ফুলে যাওয়া, জন্ডিস, রক্তবমি হতে পারে।

By নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু