রোহিত শর্মার হাস্যরস: নাজমুল হোসেন শান্তর ভুল ডিসিশন রিভিউ নিয়ে মজার প্রতিক্রিয়া
Categories
sports

রোহিত শর্মার হাস্যরস: নাজমুল হোসেন শান্তর ভুল ডিসিশন রিভিউ নিয়ে মজার প্রতিক্রিয়া

কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা চলাকালীন ব্যাটিংয়ে তেমন কোনো খারাপ শুরু করেনি বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১০৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তারা লড়াই করছিল। তবে এক মূহুর্তের “ব্রেন ফেড” বা মস্তিষ্কের বিভ্রাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যে ডিসিশন রিভিউ (ডিআরএস) নেন, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে বিব্রত করেছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত তখন ৩১ রানে ব্যাট করছিলেন, কিন্তু একটি ভুল রিভিউর কারণে কেবল তার উইকেটই যায়নি, বরং একটি মূল্যবান রিভিউও হারিয়ে গেছে।

সেই মুহুর্তে রাভিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিনে শান্তর ব্যাট-প্যাড থেকে ক্যাচ নেয় ভারতের ফিল্ডার। যদিও শান্ত আউট হয়ে গিয়েছিলেন, তবে কিছুটা ধন্দে পড়ে শান্ত রিভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখানেই ঘটে বিভ্রাট।

ডিআরএসে ব্রেন ফেড: কীভাবে শান্ত হারালেন রিভিউ

ডিআরএস নিয়ম অনুযায়ী, ক্যাচের আগে বলের ট্র্যাকিং হয়, এবং বলটি লেগে যায়নি বলে ক্যাচের প্রশ্ন বাদ যায়। কিন্তু শান্ত বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে রিভিউ নিয়ে বসেন। স্ক্রিনে তিনটি লাল সংকেত দেখানো হয় যা পরিষ্কার করে যে, বল পিচ করেছে লাইন অনুযায়ী, লেগের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে সঠিকভাবে এবং বলটি স্টাম্পে আঘাত হানতো। এই কারণে শান্ত আউট এবং বাংলাদেশের হাতে থাকা একটি মূল্যবান রিভিউও হারিয়ে যায়।

এমতাবস্থায়, ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা সেই ঘটনার সময় এক মজার প্রতিক্রিয়া জানান। ম্যাচ চলাকালীন, রোহিতকে একটি হাস্যোজ্জ্বল মুখে দেখা যায় এবং তার প্রতিক্রিয়া ছিল শান্তর ডিআরএস বিভ্রাট নিয়ে মজা করার মতো। ম্যাচে এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিতের প্রতিক্রিয়া শুধু খেলোয়াড়দের মধ্যেই নয়, দর্শকদের মধ্যেও বেশ সাড়া ফেলে।

এছাড়াও, পড়ুন : একক ফ্রিকোয়েন্সি লেজার মার্কেট শেয়ার এবং নতুন প্রবণতা বিশ্লেষণ


সুনীল গাভাস্কারের সমালোচনা

টেলিভিশনের ধারাভাষ্যে সুনীল গাভাস্কার শান্তর রিভিউ নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, “এটি একটি সম্পূর্ণ অপচয় রিভিউ।” গাভাস্কার সঠিকভাবেই বলেন, কারণ যদি ক্যাচ নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে, তবে রিভিউর সময় প্রথমেই বল ট্র্যাকিং সিস্টেমে দেখা হবে বলটি কেমন ছিল। কিন্তু শান্ত এই নিয়মটিই ভুলে যান এবং তাতে রিভিউ অপচয় হয়ে যায়।

ধারাভাষ্যে গাভাস্কার স্পষ্টতই জানিয়ে দেন যে, “এমন পরিস্থিতিতে যখন রিভিউ নেয়ার আগে জানা থাকা উচিত ছিল বলের অবস্থান সম্পর্কে, শান্ত পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। এটি কেবল তার উইকেটই নষ্ট করলো না, বরং দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রিভিউও খরচ করল।”

বাংলাদেশের আগের ধাক্কা: শুরুর ব্যর্থতা

বাংলাদেশ ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় যখন তাদের ওপেনার জাকির হাসান কোনো রান না করেই আউট হন। ২৪টি বল খেলেও একটিও রান করতে না পেরে তিনি আউট হন। ভারতের ইয়াশস্বী জয়সওয়াল এক অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের শুরুর ধ্বংস শুরু করেন এবং আকাশ দীপের বলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

এরপর বাংলাদেশ কিছুটা ফিরে আসে, তবে তাদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে আকাশ দীপের বোলিংয়ে। শাদমান ইসলামকে আউট দেওয়া হয়নি প্রথমে, কিন্তু বল ট্র্যাকিং সিস্টেমে তিনটি লাল সংকেত দেখানোর পর শাদমানকে ২৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয়। এই আউট নিয়ে ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়, এবং কমেন্ট্রি বক্সেও চলতে থাকে এই আলোচনা।

সুতরাং, প্রথম দিনটি বাংলাদেশের জন্য মোটামুটি মিশ্র ছিল, যেখানে শুরুর দিকে কিছু ধাক্কা এবং তারপর শান্তর ডিআরএস বিভ্রাট দলকে বিপাকে ফেলে।

By তাবাস্সুম ফেরদৌস শাওন