ভারতীয় দাবা তারকা গুকেশের রজনীকান্তের 'মানসিলায়ো' গানে নাচের ভিডিও ভাইরাল
Categories
sports

ভারতীয় দাবা তারকা গুকেশের রজনীকান্তের ‘মানসিলায়ো’ গানে নাচের ভিডিও ভাইরাল

ভারতীয় দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার ডি. গুকেশ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি রজনীকান্তের নতুন জনপ্রিয় গান ‘মানসিলায়ো’-তে নাচছেন। এই ভিডিওটি দ্রুত ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে দাবার চালের পরিবর্তে তিনি নাচের মুদ্রায় মেতে উঠেছেন।

ভিডিওর বিবরণ

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ১৮ বছর বয়সী গুকেশ লাল রঙের কুর্তা, ‘বেষ্টি’ (দক্ষিণ ভারতীয় ধুতি) এবং সানগ্লাস পরে আছেন। তিনি তার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে একই ধরনের পোশাক পরে গানের হুক স্টেপগুলি অনুসরণ করছেন। ভিডিওর শেষে, দাবা তারকা ক্যামেরার দিকে এগিয়ে আসেন, হাসেন এবং বিদায় জানান।

গুকেশ ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন, যার ক্যাপশনে লিখেছেন, “মানসিলায়ো… আমার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে!”

গুকেশের সাম্প্রতিক সাফল্য

গুকেশ সম্প্রতি ২০২৪ সালের বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতের ঐতিহাসিক প্রথম স্বর্ণপদক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই জয় ভারতীয় দাবার ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি একটি ছুটিতে রয়েছেন, যার সময় এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

‘মানসিলায়ো’ গানের জনপ্রিয়তা

‘মানসিলায়ো’ গানটি রজনীকান্তের সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র ‘জেলার’-এর একটি গান। এটি মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। গানটির সুর দিয়েছেন অনিরুদ্ধ রবিচন্দর, যিনি দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার একজন খ্যাতনামা সুরকার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া

গুকেশের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেক ব্যবহারকারী তার এই নতুন রূপের প্রশংসা করেছেন। একজন কমেন্ট করেছেন, “দাবার বোর্ডে যেমন দক্ষ, নাচেও তেমনি!” আরেকজন লিখেছেন, “গুকেশের এই অন্য রূপ দেখে খুব ভালো লাগলো। তার মধ্যে থাকা তামিল সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা স্পষ্ট।”

এছাড়াও, পড়ুন : রেলওয়ে ট্র্যাক চাকার বাজারের আকার, বাজার বিভাজন, বাজারের প্রবণতা এবং 2031 সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি বিশ্লেষণ পূর্বাভাস

দাবা ও সংস্কৃতির মিলন

গুকেশের এই ভিডিও দাবা ও সংস্কৃতির একটি অপূর্ব মিলনের উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি দেখিয়ে দিয়েছে যে, একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ কীভাবে তার শিকড়ের সাথে সংযুক্ত থেকে নিজের সংস্কৃতিকে উদযাপন করতে পারেন।

গুকেশের ক্যারিয়ার

ডি. গুকেশ ভারতের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল দাবা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তিনি মাত্র ১২ বছর ৭ মাস ১৭ দিন বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন, যা তখন ভারতের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম এবং বিশ্বের চতুর্থ কনিষ্ঠতম গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার রেকর্ড ছিল।

২০২২ সালে, গুকেশ আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন (ফিডে) র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০-এ প্রবেশ করেন। ২০২৩ সালের আগস্টে, তিনি ভারতের সর্বকালের সেরা দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দকে হারিয়ে দেশের নম্বর ওয়ান দাবাড়ু হন।

ভারতীয় দাবার উত্থান

গুকেশের মতো তরুণ প্রতিভাদের উত্থান ভারতীয় দাবার ক্রমবর্ধমান শক্তির প্রমাণ। বিগত কয়েক বছরে ভারত বিশ্ব দাবায় একটি শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করেছে। ২০২৪ সালের দাবা অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক জয় এই অগ্রগতির একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

গুকেশের এই ভিডিও শুধু একটি মজার মুহূর্তের প্রতিফলন নয়, এটি একজন যুবা প্রতিভার বহুমুখী ব্যক্তিত্বেরও প্রমাণ। এটি দেখায় যে, কঠোর প্রতিযোগিতামূলক খেলার পাশাপাশি, তিনি তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও সমানভাবে উপভোগ করেন। এই ধরনের ভিডিও ক্রীড়াবিদদের মানবিক দিকটিও তুলে ধরে, যা প্রায়শই তাদের পেশাদার সাফল্যের পিছনে হারিয়ে যায়।

By তাবাস্সুম ফেরদৌস শাওন